মুক্তমনা নয়, পুঁটি মাছের কলিজা
লিখেছেন লিখেছেন Md Arif ২৩ জুন, ২০১৪, ০১:১০:৩০ রাত
সত্যিই অবাক লাগে যখন দেখি সংখ্যাগরীষ্ঠ মুসলমানের এই দেশে ব্লগিং সাইট গুলোতে গুটিক'য়েক নাস্তিক বা ধর্মবিদ্বেষীর কাছে মুসলমানরা কালশীর বিহারি ক্যাম্পের বিহারীদের মত অসহায় কিংবা সংখ্যালগিষ্ঠ হয়ে যায়।আশ্চর্যের বিষয় হল ব্লগিং সাইটগুলো ঘুরে দেখলে মনে হবে যেন দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ বুঝি রাতারাতি নাস্তিক হয়ে গেল!!
আসলে কিন্তু তা নয়! অপ্রিয় সত্যকথা হল 'পুকুরের মধ্যে পুঁটি মাছের লাফালাফি যেমন, ব্লগিং সাইটগুলোতে নাস্তিকদের আষ্পালনও তেমন।'
চমকপ্রদ বিষয় হল প্রায় সকল নাস্তিকেরই নাস্তিকতার বিষয় কিন্তু নির্দিষ্ট গন্ডির মোধ্যে আবধ্য! যেমন:- নারীর অধিকার, রাসূল স: এর চরিত্র, আয়েশা রা: সম্পর্কে কুৎসা রটনা ইত্যাদি।
অবাক করা বিষয় হল তারা এসব বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেন নির্দিষ্ট কিছু জাল হাদিস আর কিছু কোরআনের আয়াতের মনগড়া ব্যখ্যার মাধ্যমে। এখানে লক্ষনীয় যে, তাদের গোলযোগ সৃষ্টির উপকরণ কিন্ত খুবই সিমীত! গুটিক'য়েক জাল হাদিস আর নির্দিষ্ট কিছু আয়াতের অপব্যখ্যা।
তারা এটিকে পুঁজি করে পুরো ব্লগিং সাইটটিকে অপবিত্র করে তুলছে। অথচ আমরা তাদের ব্লগগুলো পড়ে মাইন্ড ওয়াশ করা ছাড়া যেন কোন কাজই খুজে পাইনা। আমি বলছিনা যে, ইসলামি ব্লগার নেই। কিন্তু যারা রয়েছেন তারা চাহিদার তুলনায় নিতান্তই কম। ফলে আমরা তাদের সাথে পেরে উঠছিনা।
এইযে আমরা তাদের সাথে পেরে উঠছিনা, এটি হতে পারে দু'কারনে। ১.আমাদের অযোগ্যতা। ২. নিরুৎসাহীতা।
@আমাদের অযোগ্যতা দু ধরনের হতে পারে। *কোরআন ও সুন্নাহ্'র যথাযথ জ্ঞানের অভাব। * যুক্তি খন্ডনের যোগ্যতার অভাব। আমাদের উচিত হবে যত তারাতারি সম্ভব অযোগ্যতা বা শুণ্যতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করা। এক্ষেত্রে রমজান মাসকে প্রশিক্ষনের মাস হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। তাই আমাদের প্রদান কাজ হওয়া উচিত ইসলামের যে সব বিষয়ে নাস্তিকদের চুলকানি আছে সে সব বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি তাদের অপবেখ্যা গুলোর সঠিক ব্যখ্যা উপস্থাপনের মাধ্যমে সমুচিত জবাব দেওয়া।
@দ্বিতীয়ত হল নিরুৎসাহীতা। এটি অনেকটা অলসতার মত আমাদেরকে পেয়ে বসেছে। যা অন্তত মুসলমানদের জন্য কখনও কাম্য নয়। আমাদের অনেক ভাই আছেন যারা কথায় কথায় জিহাদ জিহাদ বলে খই ফুটান। কিন্তু ব্লগিং, ফেসবুকিং এর বিষয়ে আসলে তারা নাস্তিকতার চোঁয়া পেয়ে জোঁকের মত চুপসে যান। অথচ আমাদের জানা উচিত যে, অস্ত্র নিয়ে জিহাদের ময়দানে শত্রুর মোকাবেলা করার নামই শুধু মাত্র জিহাদ নয়। বরং জীবনের সর্বক্ষেত্রে, স্থান কাল পাত্রবেধে অন্যায় অসত্যের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে সংগ্রামের নামই হচ্ছে জিহাদ।
জিহাদের প্রকৃতি অবস্থাবেধে ভিন্ন হতে পারে। যেমন:- আফগানিস্তানের ভাইয়েরা অস্ত্রহাতে জিহাদ করছেন। তাদের জিহাদের পরিবেশ অস্ত্রের, কলমের নয়। আবার বাংদেশের ক্ষেত্রে ঠিক এর বিপরীত।
পরিশেষে বলতে পারি যে, আমরা যদি একটু সাহস করে এগিয়ে আসি তাহলে তারা পিছু হটতে বাধ্য। কেননা এরা কখনও পরমত সহিষ্নু হয়না যদিও তারা নিজেদেরকে মুক্তমনা, প্রগতিশীল, ইত্যাদি দাবী করে থাকে।
উদাহরণ স্বরুপ বলতে পারি, একবার কিছুদিন আগে "আমার ব্লগে" মুক্তিযুদ্বের চেতনার উপর একটি ব্লগ লিখেছিলাম। যতদূর মনে পড়ে শিরোনামটা ছিল "মুক্তিযুদ্বের চেতনার তাত্ত্বিক বিশ্লেষন"। আমি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করেছিলাম, ব্লগটি প্রকাশের ঠিক ৫মিনিটের মোধ্যে উম্মাধ হায়েনার মত একঝাক গালি ছুড়ে দিয়ে মুক্তমনারা তাদের মুক্তমনের পরিচয় দেয় আমার ব্লগ আইডিটি ব্যান করার মাধ্যমে।
বিষয়: বিবিধ
১১৬৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন